শুধু সাজা দেয়া নয়, সচেতনতা বৃদ্ধিও হোক মোবাইল কোর্টের অন্যতম উদ্দেশ্য।

Client Logo
  • গল্প লিখেছেনঃ  আয়শা জান্নাত তাহেরা
  • তারিখঃ 2017-04-18
  • ভিজিটঃ 1286
 
সোলায়মান মোল্লা (৪৫) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নড়াইলের সাধারণ শাখার অফিস সহায়ক। একদিন তিনি অফিসে এসে কান্নাকাটি শুরু করলেন। সাধারণ শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আয়শা জান্নাত তাহেরা তাকে শান্ত করে বিস্তারিত জানতে চাইলেন। পরে জানা গেল তার মেয়েকে  কলেজে (নড়াইল সরকারি মহিলা কলেজ) যাওয়া আসার পথে কলেজের সামনে একটি বখাটে ছেলে উৎপাত করছে। ভয় পেয়ে তার মেয়ে আর কলেজে যেতে চাইছে না। ম্যাজিস্ট্রেট আয়শা সোলায়মান মোল্লার সহযোগিতায় বখাটে ছেলেটির বাবার মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তাকে বিষয়টি জানালেন। পরদিন তিনি কলেজ চলাকালে মোবাইল কোর্ট নিয়ে কলেজের সামনে গেলেন। কলেজের সামনেই একটি চায়ের দোকানে বখাটে ছেলটিকে আরও কয়েকজন সহ উচ্ছৃঙ্খল ভঙ্গিতে বসে থাকতে দেখে তাদের আটক করলেন। এরপর তিনি ঐ ছেলেদের অভিভাবক এবং আশপাশের বাসার মুরুব্বিদেরও ডাকলেন। তিনি সবাইকে বখাটে ছেলেদের উৎপাতের বিষয়টি জানালেন। তিনি সকল অভিভাবককে তাদের শত ব্যস্ততার মাঝেও সন্তানরা কোথায় যায়, কি করে এসব বিষয়ে খোঁজ রাখার পরামর্শ দিলেন। কেননা সন্তানদের কৃতকর্মের মাধ্যমে সমাজে অভিভাবকদের অবস্থান নির্ণীত হয়। তিনি উপস্থিত সবাইকে উদ্বুদ্ধ করলেন যেন তারাও মেয়েদের কলেজে যাবার পথে বখাটেদের উৎপাত বন্ধে সচেতন ভূমিকা রাখতে পারে। পাশাপাশি এ ধরনের যে কোন ঘটনা দেখলেই তাকে কল দেয়ার জন্য তিনি সবাইকে তার মোবাইল নম্বর দিলেন। সবশেষে বখাটেদের ভবিষ্যতে আর কখনো এমন কাজ না করার শর্তে মুচলেকা নিয়ে ছেরে দেয়া হয়। সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এখন আর শুধু সোলায়মান মোল্লার মেয়ে নয়, ঐ এলাকার কোন ছাত্রীই  কলেজে যেতে ভয় পায় না। তাদের দৃপ্ত পথচলায় ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।  

 প্রিন্ট