ব্যক্তিগত স্বার্থান্বেষে প্রাকৃতিক গ্যাস

Client Logo
  • গল্প লিখেছেনঃ  মোসাঃ আলপনা ইয়াসমিন
  • তারিখঃ 2017-04-21
  • ভিজিটঃ 2444
 
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্র হলো তিতাস গ্যাসক্ষেত্র এটি ১৯৬২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাকিস্তান শেল অয়েল কোম্পানি কর্তৃক আবিস্কৃত হয়। প্রথম গ্যাস উত্তোলন শুরু হয় ১৯৫৭ সালে।বর্তমানে উৎপাদিত প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রায় ৮০% ব্যবহৃত হয় শক্তি উৎপাদনের কাজে। দেশের মোট ব্যবহৃত গ্যাসের খাতওয়ারী হার হচ্ছে : বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪৫%, সার ৩৫%, এবং শিল্প, বাণিজ্য ও গার্হস্থ্য ২০%। দেখার মতো বিষয় হলো বছরে ১৩.৪% হারে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা বাড়ছে। একটি দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর সে দেশের জনগণের অধিকার রয়েছে। তবে ‘একদিনে শেষ করে দেব’ এমন মানসিকতা থাকা উচিত নয়। প্রাকৃতিক গ্যাস একটি অনবায়নযোগ্য সম্পদ। এজন্যই ২০১০ সালে বাংলাদেশ গ্যাস আইন প্রণীত হয়েছে যার উদ্দেশ্য বাংলাদেশের সমগ্র ভূখণ্ড, নির্ধারিত সমুদ্রসীমা ও তার অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রাকৃতিক গ্যাস ও এর সহজাত তরল হাইড্রোকার্বন (associated liquid hydrocarbon) সঞ্চালন,বিতরণ, বিপণন, সরবরাহ ও মজুদ যেন যথার্থ  হয় ও ব্যবহার যেন সুষ্ঠু হয় তা নিশ্চিত করা । তাই এই অমূল্য সম্পদের অপব্যবহার রোধ করতে গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কমিটি ও তাদের প্রয়োজনীয় লোকবল সাথে নিয়ে প্রায় ১১.০০ টার দিকে সদর উপজেলার পীরবাড়ি এলাকায় ৬ তলা ভবনে বহুদিন ধরে গ্যাসের মূল লাইন থেকে অবৈধভাবে ব্যবহৃত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং ভবনের মালিককে ২৫,০০০/=(পঁচিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইদিন মালিহাতা এলাকায়  অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩০০ ফিট অবৈধ সংযোগ  বিচ্ছিন্ন করা হয় যেখানে প্রায় ৬০ টি পরিবার রান্নার কাজে গ্যাস ব্যবহার করে আসছে।প্রায় পনেরো থেকে বিশ জন লোক এসে দাবি জানায় তাদের গ্যাস ব্যবহারের বিল জমা দেবার বই আছে, তারা প্রতি মাসে ব্যাংকে টাকা জমা দেয়। আমার সাথে থাকা গ্যাস ডিস্ট্রবিউশন কমিটির সদস্যগণের মাধ্যমে জানা যায় দালাল চক্র এসব ভূয়া বই দিয়ে জনগণকে অবৈধ সংযোগ দিয়ে রাতারাতি টাকার পাহাড় গড়ছে।জনগণকে আশ্বাস দেয়া হলো দালালকে ধরিয়ে দিলে কঠিন শাস্তি দেয়া হবে এবং দেশের সম্পদের অপব্যবহার রোধে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে ৩০০ ফিটের অবৈধ সংযোগ প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে এবং প্লাস্টিকের পাইপ লাইন জব্দ করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কমিটির সদস্যদের কাছে দেয়া হয় । আসুন সম্পদের সুষম ব্যবহার করি এবং প্রকৃতি যেন ভবিষ্যত প্রজন্মকে আগলে রাখতে পারে তার সুযোগ করে দিই।




 প্রিন্ট