মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের যানজট নিরসন


- গল্প লিখেছেনঃ সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির
- তারিখঃ 2017-04-17
- ভিজিটঃ 1366
খুলনা বিভাগের ছোট একটি
জেলা ঝিনাইদহ । এ জেলার সদর উপজেলায় ৫টি স্থান, চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, বর্ষা পেট্রোল পাম্প, পাগলা কানাই ট্রাকস্ট্যান্ড, পায়রা চত্বর ও
আরাপপুরে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার দু ধারে ২০ থেকে ২৫ টি
করে বাস ও ট্রাক অবৈধভাবে রাখা থাকত। এর ফলে রাস্তায়
যেমন যানজটের সুষ্টি হতো তেমনি দূর্ঘটনাও ঘটত প্রায়ই। জনগনের জন ও মালের তেমন
নিরাপত্তা ছিলনা । এই পাঁচটি স্থানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মোবাইল
কোর্ট পরিচালনা করা হয় । প্রথম প্রথম জরিমানা আদায় করা হতো বা বাস ও ট্রাক মালিক
বলত এরপর থেকে আর এমন হবে না । তারা হয়তো ভাবত এক দুই দিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার
পর আর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা হবে না। কিংবা এমনও ঘটেছে যে মোবাইল কোর্ট আসছে শুনে তারা চলে যাচ্ছে, আবার মোবাইল কোর্ট ঐ
স্থান ত্যাগ করলে তারা আবার সেখানে এসে দাঁড়াচ্ছে। লক্ষ্য
ছিল এই অবৈধ পার্কিং নির্মুল করে জনগনের চলাচলের সুবিধা করে দেয়া। প্রথমে শুধু
অবৈধ পার্কিং এর জন্য শুধু জরিমানা করা হলেও এরপর রাস্তার পার্শের অবৈধ গ্যারেজে জরিমানা গাড়ীর ফিটনেস সার্টিফিকেট
লাইসেন্স, ইনস্যুরেন্স কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার মাধ্যমে জরিমানা বৃদ্ধি করা হয় এবং প্রয়োজনে গাড়ী ডিসি অফিস এ এনে আটকে রাখা হয়। এভাবে অব্যাহতভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বাস ও ট্রাক মালিকদেরকে সচেতন করা
হয়। তাদের সচেতনার ফলে তারা আর রাস্তার ধারে বাস ও ট্রাক না
রেখে নির্ধারিত টার্মিনালে বাস ও ট্রাক রাখতে শুরু
করে । এর ফলে রাস্তার যানজট কমেছে এবং এর
সঙ্গে দুর্ঘটনাও কমেছে। জনগন এখন স্বস্তির সাথে চলা ফেরা করছে।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ অনুসারে । এই মোবাইল কোর্ট পরিচালনার
মাধ্যমে যানজট নিরসন সম্ভব হয়েছে এবং সেই সাথে জনগনের জান ও মালের নিরাপত্তা ও
নিশ্চিত হয়েছে।
